মোঃ মাহবুব আলী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী
জনাব মোঃ মাহবুব আলী ১৯৬১ সালের ১৭ জুলাই হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার অন্তর্গত বুল্লা ইউনিয়নের বানেশ্বর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আলহাজ্ব মৌলানা আছাদ আলী এবং মাতা হোসনে আরা বেগম। মৌলানা আছাদ আলী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংঘটক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি অবিভক্ত ভারতের কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ ও পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৪ সালে ডাবল এম,এ পাশ করে এলাকায় বিভিন্ন স্কুল, কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিজে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক হিসেবে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। উল্লেখ্য, তিনি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য ছিলেন।
জনাব মোঃ মাহবুব আলী ছাত্র জীবনে বি-বাড়ীয়া কলেজে অধ্যয়নকালীন ছাত্র লীগের রাজনীতিতে স্বক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র লীগের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক (জি এস) পদে নির্বাচন করেন।
তিনি ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশা শুরু করেন। তিনি সুপ্রীম কোর্টের সহকারী এটর্নী জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র এ্যাডভোকেট।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে তানযিহী রাহবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণে অবস্থিত মোনাস ইউনির্ভাসিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অধ্যয়ণ করছেন। ছোট মেয়ে তাহরিমা রাহবার লন্ডন ইউনির্ভসিটির অধীনে এল,এল,বি করছেন। স্ত্রী শামিমা জাফরিন আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের একজন স্বনামধন্য শিক্ষিকা ছিলেন। বর্তমানে শিশু সাহিত্যের উপর লেখালেখি করছেন। তাঁর স্ব-রচিত বইগুলি হলো ‘ডাইনী মুরগীর গল্প’, ‘কাকের বনবাস’, ‘পাখিদের ফ্ল্যাট চাই’, ‘পিউলির খালার বাড়ি চাঁদে চাচ্চুর বাড়ি মঙ্গলগ্রহে’, ‘মুক্তিযুদ্ধে লালু’, ‘অর্চির যত কথা’, ‘পরীর বাড়ি একদিন’। এছাড়াও তিনি নারী অধিকার ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে কাজ করছেন।
জনাব মোঃ মাহবুব আলী কর্ম উপলক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, চীন, তানজানিয়া, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, ভারত, ব্রাজিলসহ পৃথিবীর বহু দেশ ভ্রমণ করেন। অবসর সময়ে তিনি গান শুনতে ভালবাসেন।